জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সূরা ফাতিহা পাঠ করার অনুরোধ করেনি মোহাম্মদ ইউনূস
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে যমুনা টিভির একটি পোস্টকার্ড বেশ ভাইরাল হচ্ছে। এই পোস্টকার্ডে লেখা হয়েছে,”জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সূরাহ ফাতিহা পড়তে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস!” এবং ক্যাপশনে লেখা হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ যারা জাতীয় সংগীত এর পরিবর্তন চেয়েছিলেন তাঁদের জন্য সু-খবর, বেঁচে থাকুন অনেক কাল।
তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি এই খবরটি গুজবমাত্র। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এরকম কোন মন্তব্য করেনি। যমুনা টিভি এরকম কোন পোস্টকার্ড প্রকাশ করেনি।
ফেসবুক পোস্ট | আর্কাইভ |
তথ্য যাচাইঃ
দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা নিশ্চয় প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামে জায়গা পেত। গুগল সার্চের মাধ্যমে কোন নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদনেই এরকম কোন খবরের উল্লেখ পাইনা। যা থেকে ধারনা হয় যে খবরটি বিভ্রান্তিকর।
তারপর, আমরা ভাইরাল পোস্টকার্ডটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করি। লক্ষ্য করি যমুনা টিভির নামে শেয়ার করা এই পোস্টকার্ডটিতে ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এর তারিখ দেওয়া হয়েছে। এটিকে সূত্র ধরে আমরা যমুনা টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখি এবং ৫ সেপ্টেম্বরে এরকম কোন পোস্টকার্ড শেয়ার করা হয়েছে কি না খুঁজে দেখার চেষ্টা করি। ফলে, দেখা যায় সেই তারিখে এরকম কোন পোস্টকার্ড শেয়ার করেনি যমুনা টিভি। উপরন্তু, ৮ সেপ্টেম্বরে একটি পোস্টের মাধ্যমে যমুনা টিভির নামে ভাইরাল এই ফটোকার্ডকে সম্পাদিত এবং খবরটিকে গুজবমাত্র বলে জানিয়েছেন। লেখা হয়েছে,”যমুনা টিভি এরকম কোন সংবাদ প্রচার করেনি; গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।
ফেসবুক পোস্ট | আর্কাইভ |
দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের চর্চা তুঙ্গে আসার পর অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মীয় উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন বলেন- জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। এই মুহূর্তে এমন কোনো কাজ করতে চাই না যেটি নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে যে, জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সুরা ফাতিহা পড়ার কথা জানিয়ে শেয়ার করা যমুনা টিভির ভাইরাল ফটোকার্ডটি সম্পাদিত করে তৈরি করা। যমুনা টিভি এরকম কোন পোস্টকার্ড প্রকাশ করেনি এবং জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে সুরা ফাতিহা পড়ার অনুরোধও করেনি মহম্মদ ইউনুস।