২০১৬ সালের ভিডিও শেয়ার করে ভুয়ো দাবি, ফরাসি পন্য বর্জন করছে সৌদি সরকার

False International

২০১৬ সালের সৌদি আরবের একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে, হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি করায় ফ্রান্স সরকারের বিরোধিতায় সৌদি আরবে ফ্রান্সের পন্য ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলি ট্রাক থেকে সাদা রঙের বস্তু একটি মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এই পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আলহামদুলিল্লাহ সৌদি আরবে ফ্রান্সের সকল পন্য সামগ্রিই বর্জন করে তা এভাবেই মরুভূমির মধ্যে এনে ফেলে দিচ্ছে। হ্যাশট্যাগ থামাবেন না।“ 

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে ক্লাসরুমে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদের কার্টুন দেখানোর সূত্রে একজন স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদের ঘটনার পর ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম ধর্মালম্বিরা। 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৬ সালে সৌদির আল-কাসিম জেলার বাইরে নষ্ট হয়ে যাওয়া ৮০ হাজার প্যাকেট মুরগির মাংস ফেলা হয়েছিল। এটি তারই ভিডিও। 

আর্কাইভ

Chicken thrown Bangladesh claim.png
ফেসবুক আর্কাইভ 

তথ্য যাচাই  

ভিডিওটিকে কয়েকটি ফ্রেমে ভাগ করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সৌদি সংবাদমাধ্যম ‘আল-আরাবিয়া’-এর একটি প্রতিবেদনে এর সন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বরের এই প্রতিবেদনটি অনুযায়ী,
আল-কাসিম জেলার সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি অফিসিয়াল অভিযান চালিয়ে ২৫টি ট্রাক ভর্তি মোট ৮০ হাজার নষ্ট হয়ে যাওয়া মুরগির মাংসের প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়। এই মাংস খাওয়ার উপযুক্ত নয় বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। 

Proof 1 chicken.png
প্রতিবেদন আর্কাইভ 

এই প্রতিবেদনেই একটি ভিডিও পাওয়া যায় যার সাথে সোশ্যাল মিডিয়াইয় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিও হুবহু মিল রয়েছে। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৬ সালে সৌদির আল-কাসিম জেলার সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি অফিসিয়াল অভিযান চালিয়ে ২৫টি ট্রাক ভর্তি মোট ৮০ হাজার নষ্ট হয়ে যাওয়া মুরগির মাংসের প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়। এটি তারই ভিডিও।

Avatar

Title:২০১৬ সালের ভিডিও শেয়ার করে ভুয়ো দাবি, ফরাসি পন্য বর্জন করছে সৌদি সরকার

Fact Check By: Rahul A 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *