ভাইরাল এই ছবিটি সাম্প্রতিক বন্যার নয় 

Missing Context Social

দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ৮০ লক্ষ মানুষকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এই আবহে সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে সেটিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে। পোস্টের এই ছবিতে বেশ কয়কজন মহিলাকে পানির মাঝে বন্দী অবস্থায় দাড়িয়ে এবং পেছনে কলা গাছের ভেলার আশ্রয় নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে। 

ভাইরাল এই ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”তারা হয়তো কান্না করা বন্ধ করে দিয়েছে,কারন কান্না করলেই তো আরেক ফোঁটা পানি বেড়ে যাবে 🥺 হে আল্লাহ্ তুমি সবাইকে রক্ষা করো 🤲😭🤲 আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে এই বন্যার পানি থেকে রক্ষা করো,,,🤲🤲🤲।“ 

তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি বন্যা কবলিত মানুষদের এই ছবিটি সাম্প্রতিক বন্যার নয়। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাইঃ 

ছবির আসল উৎস খুঁজতে ছবির উপরে ‘ডেইলি মেল ২৪’-এর ওয়াটারমার্ককে সূত্র ধরে গুগল সার্চের মাধ্যমে এই ছবি সম্বলিত সংবাদমাধ্যম ‘‘ডেইলি মেল ২৪’-এর কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়না। এমনকি তাদের সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল গুলোতেও এই ছবির হদিশ পাওয়া যায়না। 

তারপর, ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, bdnews24-এর একটি প্রতিবেদনে এই ছবির উল্লেখ পাই। প্রতিবেদনটি ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই তারিখের। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই বছর কুড়িগ্রাম বন্যার প্রকোপে পড়েছিল। শহররক্ষা বেড়িবাঁধের উত্তরে প্রমত্তা ধরলা নদী। নদীসংলগ্ন বাড়িগুলোতে কোমর পানি হয়েছিল। সেই এলাকার অনেক ঋণ নিয়েছিল এবং এই বন্যার মাঝেও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের একজন মাঠকর্মী সাপ্তাহিক তুলছিলেন। বন্যায় আটকে পড়াই তারা কিস্তি দিতে না পারলেও তাদের জোর করা হচ্ছিলো। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

‘কালের কণ্ঠ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই বছর ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে চলে যাওয়াই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছিল এলাকা। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি শৌচাগার না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছিল বানভাসী মানুষ। হাজার হাজার মানুষ সড়ক, বাঁধ ও  রেললাইনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

আরও দেখুনঃ 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, বন্যা কবলিত মানুষদের এই ছবিটি সাম্প্রতিক বন্যার নয়। 

Avatar

Title:ভাইরাল এই ছবিটি সাম্প্রতিক বন্যার নয়

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: Missing Context

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *