
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিবাদ সভা করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি জলাশয়ের চারিদিকে প্রচুর লোক দাড়িয়ে রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আলহামদুলিল্লাহ মসজিদে আকসা ও ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বর্বর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল বিরোধী স্বরণকালের ঐতিহাসিক প্রতিবাদ সভা। হে আল্লাহ! প্রাণের আকসাকে হেফাজত করুন। আমীন।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৬ সালের একটি বিক্ষোভের ছবিকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের বহু প্রাচীন সংঘর্ষের আগুন জ্বলে উঠেছে। এবার ঘটনাস্থল জেরুজালেমের আল-একসা মসজিদ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষ রীতিমতো বড় আকার ধারণ করেছে দুপক্ষের মধ্যে। একে অপরের দিকে নিশানা করে চলে রকেট নিক্ষেপ। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৯২ জন প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে ৫৫ জন শিশু এবং ৩৩ জন মহিলা। অন্যদিকে, হামাসের রকেট হামলায় দুজন ইজরায়েলি প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে একজন ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে। সংযুক্ত রাষ্ট্র সুরক্ষা পরিষদের সদস্য় এবং মুসলিম দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। ইজরাযেল ও হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্য়ে এক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছে। বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তা ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ দ্রুত রোখা না গেলে বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাবেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এবার মুসলিম দেশের বিদেশ মন্ত্রীরা এই ব্য়াপারে আমেরিকার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে আমরা গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, ‘ইন্দোনেশিয়া এক্সপাট’ নামে একটি ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদনটি দেখতে পাই। ২০১৭ সালের ৭ মার্চের এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, রাজধানী জাকার্তার মেয়র বসুকি চাহাজা পূর্ণমার, ‘আহোক” নামে সুপরিচিত, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পথে নামে। ২০১৬ সালের আহোক কুরাণের একটি সুরাকে বিকৃত ভাবে ব্যবহার করে যাতে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে। তার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পর থেকেই হাজার হাজার মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ পথে নামে।

এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে একটি ইন্দোনেশিয়ান সংবাদমাধ্যম থেকে ভাইরাল ছবিটি হল ২০১৬ সালের আকসি ২১২ নামে একটি বিক্ষোভ মিছিলের। জানতে পারি, আহোকের মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ জুম্মার দিন পথে নেমে নামাজ পড়ে।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৬ সালের চিলির একটি ছবিকে সম্প্রতির ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:২০১৭ সালের বিক্ষোভ মিছিলের ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে
Fact Check By: Rahul AResult: Missing Context