
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বই হাতে হিজাব পরিহিত মহিলাদের ছবিটি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা এবং শিল্পী শামসিয়া হাসানির আঁকা। পোস্টে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলি হিজাব পরিহিত মহিলার মধ্যে একজন তরুণী লাল রঙের একটি বই হাতে সামনে দাড়িয়ে রয়েছে এবং তার মুখ দেখা যাচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “#নারীর_আঁকা #নারীর_ছবি ছবিটি ঘুরছে দেয়ালে দেয়ালে …. কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা এবং আফগানিস্তানের সুপরিচিত গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানির আঁকা। অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে বই হয়ে ওঠে আলো দানকারী মোমবাতি কিংবা জ্ঞানের মশাল।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর। চেক রিপাবলিকের রিপোর্টার ম্যাগাজিনের ২০১৮ সালের ছবিকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে ‘(ক্লিও) Clios’ নামে একটি অ্যাওয়ার্ড-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই ছবিটি দেখতে পাই। জানতে পারি এটি চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগ ভিত্তিক রিপোর্টার ম্যাগাজিনের ২০১৮ সালের একটি ছবি। এই ছবির শিরোনামে লেখা রয়েছে “মৌলবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করা”। ২০১৮ সালে ক্লিও পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল এই ছবিটি।
এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা তথা আফগান গ্রাফিতি শিল্পী শামসিয়া হাসানি এই ছবিটি তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে করে বলেছেন এই ছবি তার আঁকা নয়। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেনে, “সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটিকে আমার আঁকা দাবি করে বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল এবং পেজ থেকে শেয়ার করা হচ্ছে, কিন্তু আসলে এটি আমার শিল্পকর্ম নয়। আমি জানি তারা আমাকে এবং আমার শিল্পকে সমর্থন করতে চাইছেন কিন্তু দয়া করে আসল শিল্পীকে তার কৃতিত্ব দিন।“
আসল ছবিতে সামনের তরুণী হাতে রিপোর্টার ম্যাগাজিন হাতে নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। নিচে আসল ছবি এবং ভাইরাল ছবির একটি তুলনা দেওয়া হল।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। চেক রিপাবলিকের রিপোর্টার ম্যাগাজিনের ২০১৮ সালের ছবিকে আফগানিস্তানের সাথে যুক্ত করে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:বই হাতে হিজাব পরিহিত তরুণীর ভাইরাল ছবিটি শামসিয়া হাসানির আঁকা নয়
Fact Check By: Rahul AResult: False