তালিকাভুক্ত পন্যগুলো কি আসলেই ইসরাইলি পন্য ? জানুন সত্যতা 

False International

সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের জেরে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিসের ছবি শেয়ার করে সেগুলোকে ইসরায়েলে উৎপাদিত দ্রব্য বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবিগুলোকে ইসরায়েলের দাবি করে সেগুলোকে বয়কট করার দাবি করা হচ্ছে। পোস্টের এই ছবিতে রয়েছে কয়েকটি ডিটারজেন্ট পাওডারের ছবি, রয়েছে নেসক্যাফে কফি, কিটক্যাট সহ রয়েছে আলাদা আলাদা কোম্পানির মুখমন্ডল পরিষ্কারক সহ পেপসি ও সেভেন-আপ। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,” ইজরায়েল পণ্য বয়কট করুনi।“ 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন। ভাইরাল ছবির একটিও ইসরায়েলের পণ্য নয়। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে কিওয়ার্ড সার্চ করে খুঁজে বের করি এই পণ্যগুলি কোন দেশের। খুব সহজেই দেখতে পাই এদের বেশিরভাগই আমেরিকান, ইংল্যান্ডের দ্রব্য। নিচে প্রতিটি দ্রব্যের উৎপত্তিস্থল দেওয়া হল।

সেভেন আপঃ ডক্টর পেপার নামে একটি আমেরিকান কোম্পানি হল সেভেন আপ-এর প্রস্তুতকারক। 

পেপসিঃ ইহা প্রস্তুতকারক কোম্পানির নাম হল পেপসিকো। এই আন্তর্জাতিক খাদ্যসংস্থা বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড এবং ঠাণ্ডা পানীয় প্রস্তুত করে। 

কোকা-কোলাঃ পেপসির ন্যায় এটিও একটি সফট ড্রিঙ্ক। এটি আমেরিকার সংস্থা। এর মুখ্যসংস্থা রয়েছে জর্জিয়ার আটলান্টা শহরে।  

হুইল ডিটারজেন্টঃ এই পণ্যটি ইউনিলিভার সংস্থা দ্বারা তৈরি করা হয়, যা ইংল্যান্ডের সংস্থা। অ্যাক্টিভ হুইল ১৯৮৮ সালে চালু হয়েছিল এবং ২০০০ সালে বাজারের শীর্ষস্থানীয় হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পরিবার ব্যবহার করছে। সার্ফ এক্সেল ডিটারজেন্ট, রিন ডিটারজেন্ট, তাজা চা, পেপ্সডেন্ট দাঁত মাজন, এক্স ডিওডোরেন্ট, ডাভ, ফেয়ার & লাভ্লি, পন্ডস, ক্লিয়ার শ্যাম্পু, সানসিল্ক, ভ্যাসলিন, তাজা সহ আরও অনেক দ্রব্য উৎপাদিত হয় এই ইউনিলিভার সংস্থারই অধীনে। 

লো-রিয়াল প্যারিসঃ এই দ্রব্যের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি এটি ফ্রান্সের একটি সংস্থা। এর মুখ্য কার্যালয় রয়েছে প্যারিস শহরে এবং এটি একটি শীর্ষস্থানীয় বিউটি কেয়ার কোম্পানি।

কিটক্যাটঃ কিট ক্যাট হল একটি চকলেট মিষ্টান্ন যা যুক্তরাজ্যের নিউ ইয়র্কের রাউনট্রি’স দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাদে বিশ্বব্যাপী ‘নেসলে’ দ্বারা উৎপাদিত হয়। 

জনসন অ্যান্ড জনসনঃ এটিও একটি আমেরিকার সংস্থা। 

বাটাঃ চেকোশ্লোভাকিয়া জিলিন শহর থেকে প্রথম ব্যবসা শুরু করেছিল এই সংস্থা। এই সংস্থার বর্তমান মুখ্যসংস্থান রয়েছে সুইজারল্যান্ডের লাউসানে। 

রেক্সোনাঃ রেক্সোনা হল একটি ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্র্যান্ড যা অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভূত, এবং এখন লন্ডন- এবং রটারডাম-ভিত্তিক কোম্পানি ইউনিলিভারের মালিকানাধীন।

লাইফবয় সাবানের ব্র্যান্ড ১৮৯৫ সালে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছিল যা ইউনিলিভারের মালিকানাধীন। 

ম্যাগি নেসলে কোম্পানির অধীন যার মুখ্যকার্যালয় সুইজারল্যান্ডে। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। ভাইরাল ছবির একটিও ইসরায়েলের পণ্য নয়। 

Avatar

Title:তালিকাভুক্ত পন্যগুলো কি আসলেই ইসরাইলি পন্য ? জানুন সত্যতা

Written By: Nasim Akhtar 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *