
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, সংঘর্ষের মাঝে ভাঙা মসজিদের নিচে নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ভাঙা ধ্বংসাবশেষের নিচে দাড়িয়ে নামাজ পড়ছেন কয়েকজন লোক। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “তোমরা মসজিদ ভাঙতে পারলেও তাদের ঈমান এক বিন্দুও বিনষ্ট করতে পারবে না৷ স্যালুট_ফিলিস্তিনিদের”।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন। ২০১৪ সালের ফিলিস্তিনের একটি ছবিকে সম্প্রতির শেয়ার করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের বহু প্রাচীন সংঘর্ষের আগুন জ্বলে উঠেছে। এবার ঘটনাস্থল জেরুজালেমের আল-একসা মসজিদ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষ রীতিমতো বড় আকার ধারণ করেছে দুপক্ষের মধ্যে। একে অপরের দিকে নিশানা করে চলে রকেট নিক্ষেপ। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৯২ জন প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে ৫৫ জন শিশু এবং ৩৩ জন মহিলা। অন্যদিকে, হামাসের রকেট হামলায় দুজন ইজরায়েলি প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে একজন ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে।
সংযুক্ত রাষ্ট্র সুরক্ষা পরিষদের সদস্য় এবং মুসলিম দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। ইজরাযেল ও হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্য়ে এক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছে। বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তা ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ দ্রুত রোখা না গেলে বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাবেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এবার মুসলিম দেশের বিদেশ মন্ত্রীরা এই ব্য়াপারে আমেরিকার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর ওয়েবসাইটে ছবিটিকে দেখতে পাই। ২০১৪ সালের ১৫ অগস্টের এই ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ফিলিস্তিনিরা শুক্রবার একটি মসজিদের সামনে নামাজ আদায় করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১৫ অগস্ট, ৫-দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন নিয়ম ভেঙে ইজরায়েল আক্রমণ গাজার শহরের এই মসজিদটি ভেঙে দেয়। মঙ্গলবার থেকে পর পর দুবার সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয় এবং ১৯ অগস্ট আরেকটি চুক্তি হওয়ার কথা। ১৯৪৫ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক, ৬৪ জন ইজরায়েলি সেনা ও ৩ জন নাগরিকের মৃত্যুর পর অনেকেই বন্দুকে নামিয়ে দিয়েছে।“

এছাড়া, এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনেও এই ছবিটিকে দেখতে পাই এবং সেখানেও এটিকে ২০১৪ সালের ছবি বলা হয়েছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত সত্য নয়। ২০১৪ সালের ফিলিস্তিনের একটি ছবিকে সম্প্রতির শেয়ার করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:২০১৪ সালের ছবিকে সম্প্রতির সাবে করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে
Fact Check By: Rahul AResult: Missing Context