
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, তালিবানের কাবুল দখলের পর ছাত্ররা শহরে ঢুকে পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ির ওপর অনেকগুলি লোক উপচে পড়ছে। একজনের হাতে বন্দুক রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে রয়েছে, “ছাত্ররা কাবুল শহরে ঢুকে পড়েছে। ইসলামের এই বিজয় ধ্বনি ঠেকায় কে 💪✊ বিশ্বের জালিমদের মসনদ কাঁপতে শুরু করেছে । আলহামদুলিল্লাহ।“
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাবুল দখল করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন তালিবান। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বিমান বন্দরে ভিড় জমাচ্ছে। সম্পূর্ণ বিশ্বেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে আফগানিস্তান এবং ওই দেশের বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ। তালিবান জানিয়েছেন তারা দেশে শারিয়া আইন লাগু করলেও এবার তা আধুনিক হবে।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৮ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি উদযাপনের ছবিকে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে ভাইরাল ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ‘দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর ২০১৮ সালের ১৬ জুনের একটি প্রতিবেদনে এর অনুসন্ধান পাই। জানতে পারি, আফগানিস্তান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি তালিবানের সাথে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেন। নাঙ্গারহার প্রদেশের রোদাত জেলায় আফগানরা এই যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে পড়েন। আশরাফ ঘানি জানান, তালিবানের ৪৬ জন বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে। আহত তালিবানদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তাবও দেন।

উপরোক্ত প্রতিবেদনের ছবির ক্যাপশন থেকে জানতে পারি, এটি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তোলা ছবি। কিওয়ার্ড সার্চ করে রয়টার্সের ওয়েবসাইটে এই ছবি খুঁজে পাই। ২০১৮ সালের ১৬ জুন এটি প্রকাশ করা হয়েছিল। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “নাঙ্গারহার প্রদেশের রোদান জেলায় যুদ্ধবিরতি উদযাপন করছে মানুষ।“ ছবিটি তুলেছেন পারভিজ।

স্টক ছবির সংস্থা অ্যালার্মির ওয়েবসাইটেও এই ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় এটি সম্প্রতি তালিবানের আফগানিস্তান দখলের ছবি নয়।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের রোদাত জেলায় যুদ্ধবিরতি উদযাপনের ছবিকে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

Title:২০১৮ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি উদযাপনের ছবিকে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল
Fact Check By: Rahul AResult: False