
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ছবি যেখানে অনেকগুলো অস্ত্র দেখা যাচ্ছে এবং সেই অস্ত্রগুলোকে ঘিরে দারয়ে সেনাবাহিনী ও সাধারন মানুষ। যা রিল আকারে প্রকাশ করে দাবি করা হচ্ছে যে, খিলগাঁও ঈমানবাগ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মসজিদ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি বিভ্রান্তিকর। ২০২৪ সালের আগস্টে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর অস্থির পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীরা খিলগাঁও থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে। লুট হওয়া অস্ত্র স্থানীয় ইমাম ও এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে মসজিদে জমা করেছিলেন এবং পরে সেগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তথ্য যাচাইঃ
প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে পোস্টের ছবি কেন্দ্রিক চ্যানেল২৪-এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ৭ আগস্ট,২০২৪, তারিখের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই দিন খিলগাঁও থানায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে খিলগাঁওয়ের ইমানবাগ জামে মসজিদে জমা করেন এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয় এসব অস্ত্র।
ইমামবাগ জুম্মা মসজিদের ইমাম ইমতিয়াজ মাসরুর-এর ৭ আগস্টের একটি পোস্টে এই ছবি রয়েছে যার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”আলহামদুলিল্লাহ! খিলগাঁও থানা থেকে উদ্ধারকৃত এবং লুট হওয়া শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র খিলগাঁও ঈমানবাগ জামে মসজিদের এলাকাবাসির সহযোগিতায় উদ্ধার করে বাংলাদেশ আর্মির হাতে হস্তান্তর করতে পেরেছি। ঝিলপাড় ঈমানবাগের ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসির প্রতি চির কৃতজ্ঞ। সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, অহিংস নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই সচেষ্ট হই।“
২০২৫ সালের ১১ আগস্ট “Bangla Edition” নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও প্রতিবেদনে ভাইরাল ঘটনার উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে খিলগাঁওয়ের ঈমানবাগ জামে মসজিদের ইমাম ইমতিয়াজ উদ্দিন জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কিছু দুষ্কৃতকারী খিলগাঁও থানায় অগ্নিসংযোগ করে এবং সেখান থেকে অস্ত্র লুট করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে ঈমানবাগ মসজিদে নিরাপদে সংরক্ষণ করেন। তিনি আরও বলেন, অনেক সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় সেগুলো কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। পরদিন, অর্থাৎ ৬ আগস্ট সেনাবাহিনী এসে মসজিদেই অস্ত্র রাখার ব্যবস্থা করে এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রের একটি তালিকা প্রস্তুত করে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, খিলগাঁও ঈমানবাগ জামে মসজিদ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি বিভ্রান্তিকর। ২০২৪ সালের আগস্টে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর অস্থির পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীরা খিলগাঁও থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে। লুট হওয়া অস্ত্র স্থানীয় ইমাম ও এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে মসজিদে জমা করেছিলেন এবং পরে সেগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Title:থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র মসজিদে জমা রেখে তা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার পুরনো ঘটনার ছবি ভুয়া দাবির সঙ্গে শেয়ার
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: False