২০২২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে অগ্নিকাণ্ডের সময়ের ভিডিওকে লস আঞ্জেলেসের অগ্নি বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে শেয়ার 

Misleading Social

লস আঞ্জেলেসে বড় দাবানল চলছে, শুষ্ক আবহাওয়া এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেক ঘরবাড়ি, বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুন নিভাতে প্রযুক্তি ব্যর্থ হওয়াই হুজুররা আযান দিয়ে আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করছেন। 

ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে আ*গুন নিভাতে যখন সকল প্রযুক্তি ব্যর্থ! তখনই হুজুরদের দিয়ে আযানের মাধ্যমে আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার জন্য মিনতি করছে। ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম আল্লাহ সর্ব শক্তিমান এটা বিধর্মীরাও মানতে বাধ্য হলো।“ 

তথ্য যাচাই করে আমরা দাবিটিকে ভুয়া হিসেবে পেয়েছি। পাকিস্তানের করাচিতে সুপারমার্কেটের কাছে অগ্নিকাণ্ডের পর মুসলিমদের একটি দল আযান দিয়ে আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করার ভিডিওকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, এই ভিডিও কেন্দ্রিক অনেক সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র ৫ জুন,২০২২, তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের করাচির একটি সুপারমার্কেটের কাছে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। এই বিপর্যয়ের মাঝে মুসলিমদের একটি দল স্থানীয়ভাবে আযান দিতে শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা যাতে আগুন থেকে এলাকাটি রক্ষা পায়। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

UNewsTv” এর একটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পাকিস্তানের করাচির জেল চৌরঙ্গী এলাকায় ঘটেছিল।

২০২২ সালের জুন মাসে জেল চৌরঙ্গী এলাকায় একটি সুপারস্টোরের বেসমেন্টে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এবং জিও নিউজের সংবাদ প্রতিবেদন পেয়েছি।

নিষ্কর্ষঃ

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের সময় আযান দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা। এটি আসলে ২০২২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে একটি অগ্নিকাণ্ডের সময়ের ভিডিও।

Avatar

Title:২০২২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে অগ্নিকাণ্ডের সময়ের ভিডিওকে লস আঞ্জেলেসের অগ্নি বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে শেয়ার

Written By: Nasim A  

Result: Misleading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *