সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবির শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে – গোপালগঞ্জে একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধু গাঁজা সেবন কেন্দ্র। ভাইরাল এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ফাঁকা জমির ওপর একটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে যার ওপরে লেখা রয়েছে - বঙ্গবন্ধু গাঁজা সেবন কেন্দ্র টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এখানে অত্যন্ত নিরাপদে গাঁজা সেবন করিতে পারিবেন। ছবিতে একটি টিনের ঘরও দেখা যাচ্ছে যার দেওয়ালে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকা রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে - বঙ্গবন্ধু গাজা সেবন কেন্দ্র।

তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। জমির মালিকানা দাবি সম্পর্কিত একটি সাইনবোর্ডের ছবিকে সম্পাদিত করে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টআর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-এর প্রতিবেদনে এর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের ছবিতে দেখা যায় আসল সাইনবোর্ডের ওপর লেখা রয়েছে - ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম বাবুল, ফিজা এন্ড কোং। প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা রয়েছে - রাতারাতি সাইনবোর্ড, ২০৪ শতকের মালিকানা দাবি। জানা যায়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস লাগোয়া বড়গুল জনবসতির একটি প্লটে রাতারাতি টিনের ঘর তৈরি করে জনাব নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জমির মালিকানা দাবি করেন। ঘর বানানোর পাশাপাশি মালিকানার দাবিতে একটি সাইনবোর্ডও বসানো হয়। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

নিচে আসল ছবি এবং ভাইরাল ছবির একটি তুলনা দেওয়া হল।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। জমির মালিকানা দাবি সম্পর্কিত একটি সাইনবোর্ডের সম্পাদিত ছবিকে বঙ্গবন্ধুর সাথে যুক্ত করে করে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হয়েছে।

Avatar

Title:সম্পাদিত ছবিকে বঙ্গবন্ধুর সাথে যুক্ত করে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল

Fact Check By: Rahul A

Result: Altered