ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পুরনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবি করে শেয়ার  

Communal Misleading

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার ভিডিও দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে। ভিডিওতে পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে মসজিদের ন্যায় একটি ঘর ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এবং তা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে এলাকার মানুষজন। 

ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার দৃশ্য। গ্রামবাসীর মাঝে কান্নার ভূমিকা। এর মাসূল একদিন দিতেই হবে।।“ 

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে পেয়েছি। ভিডিওতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই ঘটনা সাম্প্রতিক নয়, ১ বছর পুরনো। 

ফেসবুক পোস্ট 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ‘TIMES OF LAKHIPUR’ নামের ইউটিউব চ্যানেলটি খুঁজে সেই চ্যানেলে পোস্টের এই ভাইরাল ভিডিওটি খুঁজে বের করি। ভিডিওটি ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তারিখে আপলোড করা হয়েছে এবং আসামি ভাষায় শিরোনামে লেখা হয়েছে,”গ্রামে ৪০ বছরের পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়।“ 

এই একই ভিডিও ‘TIMES OF LAKHIPUR’ -এর ফেসবুক পেজ থেকে ১২ দিসেম্বর,২০২৩, তারিখে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”আন্টিহারা মসজিদ ভাঙ্গার দৃশ্য। গ্রামবাসীদের মধ্যে কান্নার রোল।“ 

যা থেকে স্পষ্ট হয় যে, ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় বরং বছরখানেক পুরনো। 

সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের রাজ্য আসামে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি দখল মুক্ত করতে উচ্চ আদালতের কড়া নির্দেশ ছিল। বনাঞ্চলের ৮৮৫ হেক্টরের মধ্যে ৪০ হেক্টর জমি দখল করে অনেকেই বহুদিন ধরে সেখানে বাস করে আসছিলেন। সেই নির্দেশ মেনেই গোয়ালপাড়ার লক্ষ্মীপুরের নলবাড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুমারখালির জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। এই অভিযানের সময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেক বাড়ি। সাথে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এই মসজিদও। বহুকষ্টে নির্মিত এই মসজিদ রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনও করেছিল স্থানিয়রা কিন্তু তা মানা হয়নি। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভারতে সম্প্রতি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার ভিডিও দাবি করে শেয়ার করা এই ভিডিওটি এক বছর পুরনো। 

Avatar

Title:ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পুরনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবি করে শেয়ার

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: Misleading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *