সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম এক্স (টুইটার) একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে ভারতের মণিপুরে একজন মুসলিম মহিলাকে হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত করার ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওতে আর্মির ইউনিফর্ম পরিহিত কয়েকজন মহিলাকে বোরখা পরিহিত একজন মহিলাকে লাঠি জাতীয় একটা জিনিস দিয়ে নির্মম ভাবে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে।

তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ভিডিওতে মারধর করা মহিলা একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মণিপুর পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে ঘটনার কোনও সাম্প্রদায়িক দিক নেই।

এক্স পোস্ট

তথ্য যাচাইঃ

আমাদের মণিপুর দলের সাহায্যে নিশ্চিত হয় যে, ভিডিওতে মহিলারা মনিপুরি ভাষায় কথা বলছেন। মারধরকারি মহিলারা তাকে জিজ্ঞাসা করছিল সে কোথায় মাদক দ্রব্য পেয়েছে এবং কাকে দেওয়ার কথা ছিল। মহিলা চিৎকার করছিল, “ও, এমা। আইবু কানবিয়ু" যার অর্থ, "ও মা, দয়া করে আমাকে রক্ষা করুন"।

মণিপুর পুলিশ ভাইরাল এই দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছেন,”মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। এতে কোনো সাম্প্রদায়িক দিক নেই।”

‘Moirang 360’ নামের এক ফেসবুক পোস্টের কোলাজে ভিডিওর মহিলাকে দেখা যায় যার ক্যাপশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ) মাদক ব্যবসায়ী সিং চাবাসিংকে গ্রেফতার করেছে এবং মহিলাটিকে মারধর করা হয়েছে।

Manipur Fact-Check-এর ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, মহিলাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের যার নাম মুমতাজ ইবেম। মাদক ব্যবসার অভিযোগে তাকে মণিপুরের হপ্তা গোলাপাতিতে ইউএনএলএফ সদস্যরা মারধর করেছিল।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, মারধরের শিকার মহিলা মুসলিম সম্প্রদায়ের ঠিকই কিন্তু এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক দিক নেই। মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) সদস্যদের দ্বারা গ্রেপ্তার ও মারধর করা হয়েছিল তাকে।

Avatar

Title:ভারতের মণিপুরে মুসলিম মহিলাকে মারধরের ঘটনায় কোন সাম্প্রদায়িক দিক নেই

Fact Check By: Nasim Akhtar

Result: Misleading