সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, সেনার চোখে চোখ রেখে দাড়িয়ে রয়েছে ফিলিস্তিনি মেয়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হেলমেট পরা একজন পুলিশের সামনে দাড়িয়ে রয়েছে এক তরুণী। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “সারা বিশ্বের মা জন্ম দেয় সন্তান, 💔💔 আর ফিলিস্তানের মা'রা জন্ম দেয় মুজাহিদ। ☝️☝️ আজ আমরা ঈদ আনন্দে ব্যস্ত আর ফিলিস্তিন হচ্ছে ইজরাইলের হাতে রক্তে রঞ্জিত ইয়া আল্লাহ্, আপনি ফিলিস্তিনকে নিজ হাতে রক্ষা করুন 🤲 আমীন 🤲”।

তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৬ সালের চিলির একটি ছবিকে সম্প্রতির ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়া পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Girl Army Fact check.png
ফেসবুকআর্কাইভ

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের বহু প্রাচীন সংঘর্ষের আগুন জ্বলে উঠেছে। এবার ঘটনাস্থল জেরুজালেমের আল-একসা মসজিদ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষ রীতিমতো বড় আকার ধারণ করেছে দুপক্ষের মধ্যে। একে অপরের দিকে নিশানা করে চলে রকেট নিক্ষেপ। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৭ জন শিশু এবং আট জন মহিলা। অন্যদিকে, হামাসের রকেট হামলায় দুজন ইজরায়েলি প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে একজন ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে।

তথ্য যাচাই

গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’র একটি প্রতিবেদনে এই ছবিটি দেখতে পাই। “২০১৬ সালের সেরা ছবিগুলি…” শীর্ষক দেওয়া এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি এটি চিলির সান্টিয়াগো শহরের একটি প্রতিবাদ মিছিলের ছবি যেখানে একজন কিশোরী চোখের পাতা না ফেলে সেনাকে চোখ রাঙায়।

Santiago.png
প্রতিবেদনআর্কাইভ

‘বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি এটি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ছবি। প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে রয়টার্সের ওয়েবসাইটে ছবিটিকে খুঁজে পাই। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “চিলির সান্টিয়াগো শহরে ১৯৭৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থান স্মরণে একটি বিক্ষোভ চলাকালীন একজন তরুণী দাঙ্গা দমনকারি পুলিশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ । রয়টার্স/কার্লোস ভেরা।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৬ সালের চিলির একটি ছবিকে সম্প্রতির ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়া পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:না, পোস্টের ছবির সাথে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের কোনও সম্পর্ক নেই

Fact Check By: Rahul A

Result: False