
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফের বিভ্রান্তিকর শিরোনামের সাথে প্রতিবেদনে শেয়ার করা ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল থেকে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ধর্মীয় বক্তা আমির হামজা পুলিশের রিমান্ড থেকে ছাড়া পেয়েছেন। প্রতিবেদনের থাম্বনেলে আমির হামজার ছবি দেওয়া রয়েছে এবং শিরোনামে লেখা রয়েছে, “হঠাৎ করে আমির হামজা হুজুরের মুক্তি হুজুর নিজেই অবাক”। ক্যাপশনেও একই কথা লেখা রয়েছে।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর। ইসলামিক বক্তা আমির হামজার রিমান্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার খরবটি আসলে গুজব।

প্রসঙ্গত, আলোচিত ধর্মীয় বক্তা মুফতি আমির হামজাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল। সন্ত্রাসবিরোধী একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি নাশকতার মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আমির হামজা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে ভাইরাল প্রতিবেদনটি ভালোভাবে পড়ি। দেখতে পাই, শিরোনামের সাথে মূল খবরের কোনও মিলই নেই। মূল অংশে আমির হামজার গ্রেফতার হওয়ার পুরনো খবরটি লেখা হয়েছে। তার মুক্তি পাওয়া নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। স্পষ্ট বোঝা যায়, ক্লিক এবং ভিউজ পাওয়ার উদ্দেশ্যে পুরনো খবরকে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের সাথে শেয়ার করা হয়েছে।

এছাড়া, বিভিন্ন রকম প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করেও আমির হামজার মুক্তির কোনও খবর খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি ছাড়া পেলে প্রায় সমস্ত সংবাদ মাধ্যমই ওই খবর প্রকাশ করত কিন্তু মূল ধারার কোনও সংবাদ মাধ্যেমেই এই খবর দেখতে পাওয়া যায় না।
এর আগেও বিভ্রান্তিকর শিরোনামের সাথে প্রতিবেদন শেয়ার করে দাবি করা হয়েছিল, জয়া আহসান পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মনোনয়ন পেয়েছেন। আরেকটি প্রতবেদনে দাবি করা হয়েছিল সেরা ১০০ জনের সাথে পরকীয়া তালিকায় পরিমনি। ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো বাংলাদেশ তথ্য যাচাই করে প্রমাণ করেছে সেগুলি ভুয়ো।
নিষ্কর্ষঃ তথ যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত পোস্টটি ভুল। ইসলামিক বক্তা আমির হামজার রিমান্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার খরবটি আসলে গুজব।