
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরা নিয়ে ছাত্রদের উপর প্রশাসনিক অত্যাচারের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপে কিছু পুলিশ কর্মীকে বোরখা পরিহিত কিছু মেয়েকে নিগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,” হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে ভারতের বিশ্ব বিদ্যালয়ে চলছে দমন – পীড়ন।“
তথ্য যাচাই করে আমরা ভাইরাল দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর পেয়েছি। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরকিত্ব সংশোধনী কানুনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের সাথে পুলিশ নিগ্রহের ভিডিওকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাইঃ
ফেসবুক পোস্টের ভিডিও সম্পর্কিত আসল তথ্য খুঁজতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘Ind ToDay’-এর ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল এই ভিডিওকে ঘিরে একটি সংবাদ উপস্থাপন পাওয়া যায়। ১৩ মার্চ তারিখে আপলোড করা এই প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়েছে,”CAA নিয়ে বিক্ষোভ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রকে তুলে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।“
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত নিপীড়িত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব পাওয়ার সুযোগ প্রদান করার জন্য ভারত সরকার ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর তারিখে ভারতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করে। সেই সময় এই বিল নিয়ে পুরো দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখা গেছিলো। দীর্ঘ চার বছর পর চলতি বছরের ১১ মার্চে এই কানুন কার্যকর করার জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধিগুলিকে অবহিত করেছে। যা নিয়ে আবার ভারতীয় রাজনীতিতে শোরগোল মেতে উঠেছে এবং বেশ কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবরও সামনে এসেছে। যার মধ্যে একটি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়।
দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবরগুলো দেখতে ক্লিক করুন এখানে, এখানে, এখানে।
নিষ্কর্ষঃ উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রমানিত হয় যে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরা নিয়ে ছাত্রদের দমন পীড়ন করার দাবিটি মিথ্যা। ভিডিওটি আসলে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে ছাত্র ছত্রীরা সিএএ-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ অত্যাচারের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে ভারতের বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপর অত্যাচারের ভিডিও ? জানুন ভিডিওর সত্যতা
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: False