ভারতের বিহারের হাসপাতালে শবদেহকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার 

False Social

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির শবদেহকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। জামায়াত নেতার নির্দেশে ওই কর্মকর্তা একটি ফাইলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ভিডিওতে তার মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি ভিডিওটি ভারতের বিহার রাজ্যের। অপ্রাসঙ্গিক ভিডিওকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলস্বরুপ, ভিডিওকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ভিডিও উপস্থাপন পাওয়া যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘News India 24×7’এর উপস্থাপন অনুযায়ী, ভিডিওটি বিহারের বেতিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (GMCH)। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য GMCH-এ পাঠিয়েছিল। মৃতদেহটির পরিচয় হলো কাইলাস প্রসাদ (৬৫), তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন। হাসপাতাল কর্মীরা স্ট্রেচার থাকা সত্ত্বেও মৃতদেহকে নিষ্ঠুরভাবে সিঁড়ি দিয়ে পোস্ট‑মর্টেম রুম পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল। 

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মর্গ কর্মচারী ভুয়ালি মালিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হতেই জেলা প্রশাসক GMCH‑র প্রিন্সিপ্যালকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এনডি টিভি প্রতিবেদন। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় এবং এর সঙ্গে করা দাবিটি ভুয়া। এটি ভারতের বিহারের বেতিয়া সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি ভিডিও যেখানে এক পিয়নের শবদেহকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই ভিডিওটিকেই বিভ্রান্তিকর দাবি সহযোগে শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:ভারতের বিহারের হাসপাতালে শবদেহকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *