ত্রিপুরার কদমতলার মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিওকে শেরপুরের মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিও দাবি করে শেয়ার

Communal False

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে শেরপুরের মসজিদ ভাংচুরের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওতে মসজিদের ভেতর ভাঙচুর এবং কোন বস্তুর ছায় দেখা যাচ্ছে।

ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”শেরপুরের মুরশিদপুর দরবার শরীফের মসজিদে আগুন দিয়ে কোরানশরিফ পুড়ে পেলেছে ধর্ম ব্যাবসায়ীরা… বিঃদ্রঃ- এখন আপনার বিবেক কোথায়..? #StepDownYounus @highlight #followersシ゚।“ 

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি যে ভিডিওতে প্রদর্শিত ভাঙচুর  মসজিদের ভিডিওটি শেরপুরের নয় বরং ভারতের ত্রিপুরার। ৭ অক্টোবরে ত্রিপুরার কদমতলা বাজার মসজিদের ভিডিওকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট 

তথ্য যাচাইঃ  

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে একই রমকম দৃশ্য সম্বলিত একটি ইন্সটা ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটি ‘indianewshd’ নামের পেজ থেকে ৯ অক্টোবরে পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে মাধ্যমে মসজিদ ভাংচুরের এই ভিডিওটিকে ত্রিপুরার কদমতলা বাজারের মসজিদের দৃশ্য বলে জানিয়েছেন। মসজিদ ভাংচুরের সাথে সাথে মসজিদের ভেতরে থাকা কুরআন মাজিদকেও পোড়ান হয়েছিল। দুর্গা পূজা চাঁদা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের জেরে এই ঘটনা ঘটেছিল। (আর্কাইভv) 

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম https://siasat.com/-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরে ত্রিপুরার কদমতলা বাজারের নিকটে অবস্থিত একটি ক্লাবে দুর্গা পুজার আয়োজনের জন্য চাঁদা তুলছিলেন ক্লাবের লোকজন। ক্লাবের লোকজন এক মুসলিম পরিবারের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে সেই পরিবারের দিতে নাকচ করে। না করে সত্ত্বেও ক্লাবের চাঁদা আদায়কারীরা সেই পরিবারকে জোর করলে বিবাদের সৃষ্টি হয়। ফলে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পরে। যার দরুন মসজিদে ভাঙচুর  এবং ধর্মীয় বই পোড়ান থেকে শুরু করে মুসলিম পরিবার পরিচালিত দোকান লুটপাট করার মত ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ আধিকারিক ফাঁকা গুলো নিক্ষেপ করেন এবং দুর্ভাগ্য বশত সেই গুলিতে আলফেসানি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

ত্রিপুরা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘Sbharat Live’-এর ফেসবুক পেজ থেকে দাবীকৃত ভিডিওটি শেয়ার করে জানিয়েছেন,” কদমতলা একের পর একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১০ জনের অধিক! মূর্তি ও মসজিদ ভাঙচুর কারী দুষ্কৃতীদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।“ 

তাছাড়া, পোস্টের এই ভিডিওটি ভারতের সম্ভল মসজিদের দৃশ্য বলে ভারতে ভাইরাল হওয়াই সম্ভল পুলিশ এটিকে ত্রিপুরার কদমতলার বলে জানিয়েছেন। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে শেরপুরের মসজিদ ভাংচুরের ভিডিও দাবি করে ভাইরাল ভিডিওটি আসলে ত্রিপুরার কদমতলার। 

Avatar

Title:ত্রিপুরার কদমতলার মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিওকে শেরপুরের মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিও দাবি করে শেয়ার

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *