
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, জীবন্ত মানুষকে লাশ বানিয়ে যুদ্ধে মৃত লোকের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। পোস্টের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন সাংবাদিক তার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখছে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো কাপরে অনেক লাশ মাটিতে শোয়ানো রয়েছে। মৃতদেহের ব্যাগগুলির মধ্যে একটি ব্যাগ নড়ে উঠছে এবং বাইরে থেকে একজন লোক তার সাথে কথা বলছে। পরক্ষনেই মৃতদেহটি নিজেকে ব্যাগের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “এটাকেই বলা হয় পলিটিক্স। যুদ্ধে প্রচুর বেসামরিক লোক হতাহত হচ্ছে তা প্রচারের জন্য জীবন্ত লোক দিয়ে শ্যুটিং এর সময় এক লাশ কাপড় তুলে দেখতে চাইলো একশান শেষ হয়েছি কিনা🥴।“
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। জলবায়ু নীতির বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে প্রদর্শিত বিক্ষোভের ভিডিওকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে যুক্ত করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচায় করতে আমরা ভিডিওটিকে ইনভিড টুলের মাধ্যমে কি ফ্রেমে ভেঙ্গে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। অস্ট্রিয়ার সংবাদমাধ্যম ’OE24’-এর একটি প্রতিবেদনে এই ছবির অনুসন্ধান পাওয়া যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, তারিখের এই প্রতিবেদনের শিরোনামে জার্মান ভাষায় লেখা রয়েছে, “শক প্রতিবাদ: বডি ব্যাগে ৪৯ জন কর্মী।” প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রদর্শন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সামাজিক সংঘটনের কর্মীরা ভিয়েনার ফেডারেল চ্যান্সেলারির সামনে এই প্রদর্শন করে।

নীচে ভাইরাল ভিডিও ও আসল ভিডিওর দৃশ্যের একটি তুলনা দেওয়া হল।

এই প্রদর্শনে অংশগ্রহনকারী সংস্থা ’ViennaForFuture’ নামের টুইটার হ্যান্ডলে এই প্রদর্শনের অন্যান্য ছবিগুলি পোস্ট করে একই কথা জানানো হয়।
তথ্যের ভিত্তিতে প্রমানিত হয় জলবায়ু পরিবর্তনের সচেতনতার উদ্দ্যেশ্যে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে অভিনবভাবে প্রদর্শিত প্রতিবাদ বিক্ষোভের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। জলবায়ু নীতির বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে প্রদর্শিত প্রতিবাদ বিক্ষোভের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে

Title:রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষঃ অস্ট্রিয়ায় প্রদর্শিত অভিনব বিক্ষোভের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে ভাইরাল
Fact Check By: Rahul AResult: False