
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলছেন ইসলাম ও ইউরোপের সামঞ্জস্যের সমস্যা আছে। অন্য এক গ্রাফিক কার্ডে লেখা হয়েছে,”ইতালিতে ইসলাম ধর্মের কোন জায়গা নেইঃ প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো। জর্জিয়া মেলোনির পুরনো মন্তব্যকে সাম্প্রতিক দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে।

তথ্য যাচাইঃ
এই দবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলে, অনেক গণমাধ্যমেই এই মন্তব্যকে ঘিরে প্রতিবেদন পেয়ে যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর শিরোনামে লেখা হয়েছে,” ইউরোপে ইসলামের কোনো স্থান নেই…’: ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির পুরনো ভিডিও ভাইরাল।“ এই উপস্থাপনে জানানো হয় যে, মেলোনির এই মন্তব্যটি ২০১৮ সালের।

‘IL fatto Quotidiano’-এর ৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৮, তারিখের প্রতিবেদনে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে মেলোনির মন্তব্যের ভিডিওটি পাওয়া যায়।

তাছাড়াও, ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘alanews’-এর ইউটিউব চ্যানেলে জর্জিয়া মেলোনির আলোচ্য মন্তব্যের ভিডিওটি পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে আপলোড করা হয়েছে যা থেকে স্পষ্ট হয় ইতালি প্রধানমন্ত্রীর আলোচ্য মন্তব্যটি সম্প্রতির নয় বরং পাঁচ বছরের পুরনো।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, জর্জিয়া মেলোনি ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর তারিখে ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেছেন এবং অপরপক্ষে, মেলোনির আলোচ্য মন্তব্যটি ২০১৮ সালের যা থেকে প্রমানিত হয় যে প্রধানমন্ত্রী পদস্থ অবস্থায় তিনি এই মন্তব্য করেননি। অর্থাৎ, ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করা ‘ইতালির প্রধানমন্ত্রী’ কথাটি ভুল।
তিনি কি সম্প্রতি মুসলিম বিদ্বেষী কোন মন্তব্য করেছেন ?
গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে এরকম কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাওয়া যায়না যেখানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সম্প্রতি মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের কথা সিদ্ধ করে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। পাঁচ বছর পুরনো মন্তব্যকে সম্প্রতির দাবি করে শেয়ার করা হয়েছে।

Title:ইসলামের ধর্মের সংস্কৃতি ও ইউরোপের মূল্যবোধ নিয়ে ইতালি প্রধানমন্ত্রীর পুরনো মন্তব্যকে সম্প্রতির দাবিতে ভাইরাল
Written By: Nasim AkhtarResult: Missing Context