সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরনো একটি ঘটনাকে পুনরায় শেয়ার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, হিজাব পরার অনুমতি পেলো যুক্তরাজ্যের রয়েল ডার্বি হাসপাতালের মুসলিম নারী চিকিৎসকরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নার্সের ইউনিফর্ম পরে দুজন মহিলা দাড়িয়ে আছে এবং একজনের মাথায় হিজাব রয়েছে।

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “হিজাব পরার অনুমতি পেলো যুক্তরাজ্যের রয়েল ডার্বি হাসপাতালের মুসলিম নারী চিকিৎসকরা ——————————————————- যুক্তরাজ্যের রয়েল ডার্বি হাসপাতাল মুসলিম নারী চিকিৎসকদের হিজাব পরিধানের অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তৈরি সাময়িক ব্যবহারযোগ্য ও জীবাণুমুক্ত হিজাব অপারেশন থিয়েটারে পরিধান করা যাবে। রয়েল ডারবি হাসপাতাল সর্বপ্রথম কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরিধানের অনুমোদন প্রদান করে। হাসপাতালে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেন মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত ডা. ফারাহ রোসলান। -দ্য নিউজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভালো কাজের চর্চায় জাতীয় স্বীকৃতি আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আমাদের বিশ্বাস আমরাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের অপারেশন থিয়েটারে কর্মীদের জন্য জীবাণুমুক্ত হিজাব পরিধানের অনুমোদন দিয়েছি। ডা. রোসলান বলেন, আমার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। জীবাণুমুক্ত হিজাব রোগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই ভুয়া এবং দাবি বিভ্রান্তিকর। ২০১৯ সালের ব্রিটেনের একটি হাসপাতালের সাময়িক ব্যবহারযোগ্য হিজাব অনুমোদন করার ঘটনাকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Claim 2 hijab.png
ফেসবুক আর্কাইভ

সংবাদমাধ্যম ‘দ্যা ডেইলি ইনকিলাব’ এই ২০১৯ সালের ঘটনা নিয়ে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে। এই প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা রয়েছে, “হিজাব পরার অনুমতি পেলো যুক্তরাজ্যের রয়েল ডার্বি হাসপাতালের মুসলিম নারী চিকিৎসকরা”।

Claim hijab.png
প্রতিবেদন আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই খবরটির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে আমরা এই ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি ইউকে’র একটি প্রতিবেদনে এই ছবিটি দেখতে পাই। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বরের এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, ইউকের রয়্যাল ডার্বি হাসপাতাল সাময়িক ব্যবহারের জন্য একধরনের অভিনব এবং নিষ্পত্তিযোগ্য হিজাব তৈরি করেন।

ফারাহ রোসলান নামে ওই হাসাপাতালের একজন ডাক্তার এই অভিনব হিজাব আবিস্কার করে। তিনি আগেও হিজাব পরেই সারাদিন হাসপাতালে কাজ করতেন। কিন্তু তখন তাকে সারাদিক একই হিজাব পরে কাজ করতে হত ফলে জিবানু সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি ছিল। ডাঃ ফারাহ তার আস্থা এবং কাজকে একসাথে চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই সাময়িক ব্যবহারযোগ্য হিজাবের প্রবর্তন করেন।

BBC.png
ফেসবুক আর্কাইভ

‘ইন্ডিপেনডেন্ট’ নামে আরেকটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে এই খবরটি দেখতে প

Hijab.png
প্রতিবেদন আর্কাইভ

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৯ সালের ব্রিটেনের একটি হাসপাতালের সাময়িক ব্যবহারযোগ্য হিজাব অনুমোদন করার ঘটনাকে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:২০১৯ সালের ব্রিটেনের একটি হাসপাতালের ঘটনাকে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে

Fact Check By: Rahul A

Result: False