
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে নারী সৈনিক নিয়োগ। বাংলাদেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল এই খবরটিকে শেয়ার করছে। এই প্রতিবেদনগুলির শিরোনামে লেখা রয়েছে, “প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে নারী সৈনিক নিয়োগ”। ক্যাপশনেও একই কথার উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৮ সালে প্রথম সৌদি আরবের সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ শুরু হয়।


তথ্য যাচাই
এই প্রতিবেদনগুলি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাই সবগুলিতেই একই খবর হুবহু একরকমের কপি করে লেখা রয়েছে। এই খবরের বিষয়বস্তু হল, “প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে নারী সৈনিক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সামরিক বিভাগ এক নির্দেশনায় রিয়াদের কিং ফাহাদ সিকিউরিটি কলেজে সৈনিক হিসেবে সৌদি নারীদের ভর্তি ও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। খবর সৌদি গেজেটের“
এরপর এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে সৌদি গেজেটের ওয়েবসাইটে এরকম কোনও তথ্য খুঁজে পাই না। আরও কিওয়ার্ড সার্চ করে সৌদি গেজেটের ১১ ফেব্রুয়ারির একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, সৌদির রিয়াদের কিং ফাহদ সিকিউরিটি কলেজে নারী ক্যাডারদের জন্য ফার্স্ট সোলজার (ল্যান্স করপোরাল) পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।
এই খবরে ‘ফার্স্ট সোলজার’ কথাটির পাশে ব্র্যাকেটে লেখা রয়েচেহ ল্যান্স করপোরাল, যার অর্থ হল প্রবেশিকা পর্যায়ের মহিলা সিকিউরিটি গার্ড। এই ‘ফার্স্ট সোলজার’ মানে সৌদির প্রথম নারী সেনাবাহিনী নয়।

এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ এবং ‘সৌদি গেজেট’র প্রতিবেদন থেকে বিবি

বিবিসি | আর্কাইভ |
সৌদি গেজেট | আর্কাইভ |
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৮ সালে প্রথম সৌদি আরবের সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ শুরু হয়।

Title:ভুয়া পোস্ট শেয়ার করে দাবি, প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে নারী সৈনিক নিয়োগ
Fact Check By: Rahul AResult: False