মুসকানের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া, জানিয়েছেন বাবা মোহাম্মাদ হুসেইন খান

False International

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় হিজাব বিতর্কের মুখ মুসকান খানকে হত্যা করা হয়েছে। পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে অচৈতন্য অবস্থায় থাকা একজন তরুণীকে একজন লোক ধরে রেখেছে। 

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “মুসকান আর নেই 🥲🥲 ভারত বর্ষে যে মেয়েটা আল্লাহু আকবার বলে আওয়াজ দিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল,সেই মুসকান বোনটাকে কাফেরের দলেরা হত্যা করে ফেলেছে। আল্লাহ তুমি এই বোন কে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন আমিন আমিন ছুম্মা আমিন।” 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর। মুসকানের বাবা মোহাম্মাদ হুসেইন খান জানিয়েছেন এই খবরটি ভুয়া। 

ফেসবুক পোস্টআর্কাইভ

যে কোনও সন্দেহজনক ভুয়ো ছবি, পোস্ট এবং ভিডিও পাঠান আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সত্যতা যাচাই করে আপনাকে উত্তর জানাবো। আমাদের নম্বর: +91 90490 53770

তথ্য যাচাই

ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে সংবাদমাদ্যম ‘মিড ডে’-এর ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল তারিখের একটি প্রতিবেদনে এই ছবির অনুদন্ধান পাই। জানতে পারি, এটি কাশ্মীরের ঘটনা। ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনা দ্বারা জঙ্গি সংগঠন হিজবুলের নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে কাশ্মীরের সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। ক্লাস অবরোধ করে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পুলিশ এবং সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষে শুরু করে। পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়তে করে পড়ুয়ারা। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত একজন ছাত্রীর ছবিকে মুসকান দাবি করে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে। প্রতিবেদটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

এরপর আমরা মুসকানের বাবা মোহাম্মাদ হুসেইন খানের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের জানান, “আমার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি আসলে ফেক নিউজ।”

চলতি বছরের শুরুতে হিজাব বিতর্ক শুরু হওয়ার পর মুসকানকে নিয়ে অনেকগুলি ভুয়া খবর ভাইরাল। ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সবগুলি ভুয়া খবরের তথ্য যাচাই করে তার সত্যতা প্রমাণ করে। তথ্য যাচাইগুলি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে  এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। মুসকানের বাবা মোহাম্মাদ হুসেইন খান জানিয়েছেন এই খবরটি ভুয়া।

Avatar

Title:মুসকানের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া, জানিয়েছেন বাবা মোহাম্মাদ হুসেইন খান

Fact Check By: Rahul A 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *