
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে মালদা-মুর্শিদাবাদের সীমান্তে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি বাঁধের অনেকগুলি গেট দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “🥺এই সেই ফারাক্কা বাধ🥺 ভারতের ফারাক্কা বাধ এর “১০৯ টি গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। তিস্তা টিপাইমুখী সহ মোট “১১ টি পানির গেইট খুলে দিয়েছে ভারত সরকার। ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা বেশ কয়েকটি জেলা ।😭 “মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই বাংলাদেশকে ও দেশের সকলকে বন্যা কবল থেকে হেফাজত করুন। (আমিন)🤲🤲🤲।”
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হেমাবতী জলাধারের ভিডিওকে পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধের জল ছাড়ার ভিডিও বলে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ভিডিওটিকে ইনভিড টুলের মাধ্যমে কিফ্রেমে ভেঙ্গে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে একাধিক ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। ‘Karnataka Travel Diaries’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ভিডিওটি ২০১৯ সালে শেয়ার করা হয়। ভিডিওর শীর্ষক এবং বিবরণে এটিকে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকের গোরুর হেমাবতী জলাধার বলে জানানো হয়েছে।
এই সুত্র ধরে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। সার্চ রেজাল্ট থেকে মাধ্যমে জানতে পারি এই জলাধারটি ভারতের কর্ণাটকের হাসান জেলার গরুর নামে একটি এলাকায় অবস্থিত। হেমাবতী নদীর উপর অবস্থিত এই বাধটি ১৯৭৯ সালে তৈরি করা হয়। হাসান জেলার এটি অন্যতম একটি পর্যটনস্থল। প্রতি বছর অনেকেই এই জলাধার দেখতে যান।

গুগল ম্যাপসে গরুর বাঁধ বা হেমাবতী বাঁধের অবস্থান খুঁজে বের করি। ভাইরাল ভিডিওর দৃশ্যর সাথে ম্যাপসেও গ্যালারিত দেওয়া ছবি হুবহু মিলে যায়। ছবিগুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। নীচে ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট ও হেমাবতী জলাধারের ছবির তুলনামূলক ফ্রেমটি দেওয়া হল।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হেমাবতী জলাধারের ভিডিওকে পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধের জল ছাড়ার ভিডিও বলে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Title:ভাইরাল ভিডিওতে ফারাক্কা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে? জানুন সত্যতা
Fact Check By: Nasim AResult: False