
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের স্ত্রী বলেছেন ‘লাথি স্ট্যাম্পে নয় লাথি আমাদের দেশের ক্রিকেটের দুর্নীতির মুখে মারা হয়েছে’। পোস্টে একটি প্রতিবেদনের লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে যার শিরোনামে লেখা রয়েছে, “লাথি স্ট্যাম্প এ নয় লাথি আমাদের দেশের ক্রিকেটের দুর্নীতির মুখে মারা হয়েছে: শিশির।“ ক্যাপশনেও একই কথা লেখা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ একটি খেলায় আম্পায়ার এলবিডব্লিউ’র আবেদন মেনে আউট না দেয়ায় লাথি মেরে স্ট্যাম্প উড়িয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর আম্পায়ার ইমরান পারভেজের দিকে তেড়ে যান ও বিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে তাকে। এই টি-২০ ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করছিলেন সাকিব আর ক্রিজে ব্যাটসম্যান ছিলেন আবাহনীর মুশফিকুর রহিম। এটিই ছিল ম্যাচে তার করা একমাত্র ওভার এবং তিনি মুশফিকুর রহিমকে বল করলে বল পায়ে লাগার পর আবেদন জানান তিনি।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। সাকিব আল হাসানের স্ত্রী এজাতীয় কোনও মন্তব্য করেননি। তার নাম ব্যবহার করে ভুয়া পোস্ট গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে ভাইরাল প্রতিবেদনটিকে ভালো ভাবে পড়ে দেখি। খবরের সারমরমের সাথে শিরোনামের কোনও মিল নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সমর্থনে একটি ফেসবুক পোস্ট করে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। সেই পোস্টের কমেন্টে ফ্যানরা বলেছেন, “সাকিব স্ট্যাম্পে নয়, দেশের দুর্নীতির মুখে লাথি মেরেছে।“ অর্থাৎ, শুধুমাত্র ক্লিক পাওয়ার জন্য শিশিরের মন্তব্যকে বিকৃত করে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।

এরপর শিশিরের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখতে পাই ১২ জুন সাকিবের স্ট্যাম্পে লাথি মারা ঘটনার একটি গ্রাফিক্স শেয়ার করে লিখেছেন,
“আমি এই ঘটনা মিডিয়ার মতো করেই উপভোগ করছি, অবশেষে টেলিভিশনে কিছু খবরও দেখা যাচ্ছে! আজকের ঘটনায় যারা পুরো চিত্র পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছেন, সেরকম কিছু মানুষের সমর্থন পেয়ে ভালো লাগছে যে, সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অন্তত একজনের সাহস আছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে আসল ইস্যুটিকে চাপা দিয়ে মিডিয়া শুধুমাত্র তার রাগ প্রকাশের বিষয়টিকে তুলে ধরছে। এখানে আসল বিষয়টি হলো আম্পায়ারদের নজরকাড়া সিদ্ধান্ত! হেডলাইনগুলো দুঃখজনক। আমার মনে হয়, এটা তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটা ষড়যন্ত্র, যেখানে সব ঘটনাতেই তাকে ভিলেন হিসাবে তুলে ধরা হয়। আপনি যদি ক্রিকেট ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সতর্ক হোন!”
এই পোস্টটি ছাড়া শিশির আর অন্য কোনও মন্তব্য করেননি। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় শিশিরের নাম ব্যবহার করে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত পোস্টটি ভুল। ইসরায়েল বা ইসরায়েলের পণ্য বর্জন সম্পর্কে কোনও কথাই বলেননি রোনাল্ডো।

Title:‘দেশের ক্রিকেটের দুর্নীতির মুখে লাথি মারা হয়েছে’, না শিশির এমন মন্তব্য করেননি
Fact Check By: Rahul AResult: Missing Context