
সম্প্রতি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”ভারতের অন্ধ প্রদেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে ভারত সরকার তাকে একের পর এক ভিআইপি প্রটোকল দিয়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশের মিডিয়া গুলোকে তার কোন নিউজ প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।“
তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি দাবিটি ঠিক নয়। শেখ হাসিনার এই ভিডিওটি ২০১৭ সালের। সেই সময়ে তিনি লন্ডন ও সুইডেন সফরে গিয়েছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টোকহোমে অবস্থিত গ্র্যান্ড হোটেল ঢোকার সময় রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
তথ্য যাচাইঃ
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, হুবহু এই ভিডিওটি ‘Mamunur Rashid’ নামের ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০১৭ সালের ১৬ জুন তারিখে পোস্ট করা হয়েছে। যা থেকে ধারনা হয় যে ভিডিওটি সাম্প্রতিক কালের নয় বরং ২০১৭ সাল থেকেই ইন্টারনেটে উপলব্ধ রয়েছে।
তাছাড়া, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া বহুতল ভবনটি স্টোকহোমের গ্র্যান্ড হোটেলের সাথে মিলে যাচ্ছে।
উক্ত তথ্যকে মাথায় রেখে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একটি ইউটিউব ভিডিও পাওয়া যায় যা ২০১৭ সালের ১৬ জুন তারিখে আপলোড করা হয়েছে এবং শিরোনামে লেখা হয়েছে,”গাড়ী থেকে নেমে দৌড়ে প্রবাসীদের কাছে প্রধানমন্ত্রী : Sheikh Hasina In sweden।“
‘ঢাকা টাইমস’ ও ‘জাগো নিউজ২৪’-এর ২০১৭ সালের প্রতিবেদন থেকেও জানা যায়, ভিডিওটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুইডেন সফরকালের।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভারত সরকার কর্তৃক শেখ হাসিনাকে ভিআইপি প্রোটোকল দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা। শেখ হাসিনার এই ভিডিওটি ২০১৭ সালের। সে সময় তিনি লন্ডন ও সুইডেন সফরে গিয়েছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে গ্র্যান্ড হোটেলে প্রবেশের সময় তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের সাথে দেখা করেছিলেন।

Title:২০১৭ সালে শেখ হাসিনার সুইডেন সফরের ভিডিওকে ভিআইপি প্রোটকলে ভারত পৌঁছানোর দাবিতে শেয়ার
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: False