ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ছবি সাম্প্রতিক ঢাকা ভূমিকম্পের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার

False Social

২১ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ৮ জনের মৃত্যু, কয়েকশো মানুষের আহত হওয়া এবং ৩০০টিরও বেশি ভবনের ক্ষতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তী দিন, ২২ নভেম্বর রাতে, আরও একটি ছোট কম্পন অনুভূত হয়। এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনটি আলাদা আলাদা ছবির একটি কোলাজ সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হচ্ছে।

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”সেকেন্ডের ভূমিকম্পে ঢাকার অবস্থা বেহাল!” 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখেছি, কোলাজের ছবিগুলো বাংলাদেশের নয়। ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ছবি সাম্প্রতিক ঢাকা ভূমিকম্পের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবি তিনটিকে আলাদা আলাদা ভাবে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। 

প্রথম ছবিঃ 

এনডি টিভি, ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর মত বিশ্বাসযোগ্য ভারতীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল এবং ছবিটি তার সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ, ছবিটি দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলের। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

দ্বিতীয় ছবিঃ 

২০২৫ সালের ২৮ মার্চ মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ভূমিকম্পের পর নেপিদো শহরের একটি সড়কে ফাটল দেখা যায়। ২৮ মার্চ আঘাত হানা শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল কেঁপে ওঠে, নেপিদোতে সড়ক ধসে যায়, ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

তৃতীয় ছবিঃ 

বহুতল ভবনের বিধ্বস্ত হয়ে পরার এই ছবিটি ২০১৬ সালের নেপাল ভুমিকম্পের। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, পোস্টের কোলাজের ছবি গুলো সাম্প্রতিক ঢাকা ভুমিকম্পের সাথে সম্পর্কিত নয়। ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ছবি সাম্প্রতিক ঢাকা ভূমিকম্পের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার করা হচ্ছে। 

Avatar

Title:ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ছবি সাম্প্রতিক ঢাকা ভূমিকম্পের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *