
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করে হচ্ছে, মেট্রো রেলের যন্ত্রাংশ চুরির অপরাধে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করল র্যাব (RAB)। একটি ফেসবুজ পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৪’ লেখা একটি বোর্ড লাগানো রয়েছে। ছবির ওপরে লেখা রয়েছে, “মেট্রোরেল চালু না হতেই মেট্রোরেলের যন্ত্রাংশ চুরির অপরাধে র্যাবের হাতে ১১ জন ভারতীয় নাগরিক আটক ! বিষয়টি প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার !! আচ্ছা তাহলে আমরা প্রচার করবোনা।“
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আমেরিকা চুরি করে , আফগানিস্তানের , লিবিয়ার, অন্যান্য দেশের সম্পদ ,শুধু পারে না চীনের সাথে। ভারত চুরি করে বাংলাদেশের সম্পদ ।আমেরিকা আর ভারত ২টায় চোর।।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। মেট্রো রেলের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় গ্রেফাতার হওয়া ১১ জনই বাংলাদেশী নাগরিক।
এই একই দাবির আরেকটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটকেও ভাইরাল করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে সংবাদ মাধ্যম ‘যুগান্তর’-এর ১৩ সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, মেট্রোরেলের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে ১১ জনের একটি দলেক গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
নিউজ পোর্টাল ‘সারা বাংলা’-এর ১৩ সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদনে একই খবর খুঁজে পাওয়া যায়। চলতি মাসের তারিখ র্যাব অভিযান চালিয়ে মেট্রোর মালামার চুরির অপরাধে ১১ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের নাম হল, “মোতালেব শিকদার (৫৪), নজরুল ইসলাম (৪৪), হাবিব উল্লাহ ভুঁইয়া (৪৩), ওয়ালীউল্লাহ ওরফে বাবু (৪১), দালাল চক্রের সদস্য সুমন ঘোষ (৪৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৮), আব্দুস ছাত্তার (৫৮), মো. আশিক (৩১), আমজাদ হোসেন রাজন (৩৬), মো. মনির (৪০) ও মো. রিয়াজুল (২০)।“ প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
আরও কিওয়ার্ড সার্চ করে জানতে পারি সংবাদ ‘মাধ্যম নিউজ বাংলা ২৪’-এর ২৯ জুনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, পদ্মা সেতু এলাকায় ১১ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে একদিনে ১৭ মাসে এই ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের আচরণ এবং বেশভূষা দেখেই সন্দেহ করে পুলিশ। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভারসাম্যহীন বলেও মনে করা হয়।
এই ঘটনার সাথে রেলের যন্ত্রাংশ চুরির কোনও যোগ পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সংস্থা ‘এএফপি (AFP)’ র্যাবের মুখপাত্র সাজেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি স্পষ্ট করেন মেট্রোর যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার সকলেই বাংলাদেশী নাগরিক।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। মেট্রো রেলের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় গ্রেফাতার হওয়া ১১ জনই বাংলাদেশী নাগরিক।

Title:না, মেট্রোরেল যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১১ জন ভারতীয় নন
Fact Check By: Rahul AResult: False