
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো একটি নোটিশের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভালোবাসা দিবসে বয়ফ্রেন্ড ছাড়া কলেজে ঢুকতে মানা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে আগ্রার সেন্ট জন কলেজের নোটিশ যার মধ্যে লেখা রয়েছে, “১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক মেয়ের একজন করে বয়ফ্রেন্ড থাকা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তার স্বার্থে এরূপ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গেল মেয়েদের কলেওজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাদেরকে নিজের বর্তমান প্রেমিকের ছবি দেখাতে হবে।“
এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “’১৪ ফেব্রুয়ারির আগে প্রত্যেক ছাত্রীর অন্তত একজন বয়ফ্রেন্ড থাকা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তার খাতিরে এই সিদ্ধান্ত। সিংগেল (বয়ফ্রেন্ড নেই যাঁদের) ছাত্রীরা কলেজ চত্বরে ঢোকার অনুমতি পাবেন না। ছাত্রীদের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক ছবিও দেখাতে হবে। ভালবাসা ছড়িয়ে দিন’ 🤐 এমনই একটি নোটিশ দিয়েছে নাকি ‘সেইন্ট জনস্ কলেজ আগ্রা’ , ভারত🤭”।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। সেন্ট জন কলেজ এরকম কোনও নোটিশ দেয়নি। পোস্টের ছবিটি ভুয়ো।


তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে আমরা গুগুলে কিওয়ার্ড সার্চ করি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্যা টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদনে থেকে জানতে পারি এই দাবিটি ভুয়ো। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কতৃপক্ষ জানিয়েছে এই নোটিশ ভুয়ো। কলেজের নাম খারাপ করার জন্য এরকম নিন্দনীয় কাজ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কলেজের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরপর সেন্ট জন কলেজের অফিসিয়াল পেজে এই মর্মে দেওয়া একটি নোটিশ খুঁজে পাই। এই নোটিশে ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে ভুয়ো দাবি করা হয়েছে। অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস পি সিংয়ের স্বাক্ষর সম্বলিত আরেকটি নোটিশ দিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো নোটিশটি বেআইনী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের নয় বলে জানানো হয়। অধ্যাপক এস পি সিং জানান, ভাইরাল হওয়া নোটিশে আশিস শর্মা নামে যে ব্যক্তির স্বাক্ষর দেখা যাচ্ছে সেই নামের কোনও শিক্ষক সেন্ট জন কলেজে নেই।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। সেন্ট জন কলেজের তরফে এরকম কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি।

Title:না, ভারতীয় কলেজ ভালোবাসা দিবসে বয়ফ্রেন্ড আনার কোনও নোটিশ দেয়নি
Fact Check By: Rahul AResult: False