ভারতের বিমানবন্দরে দাড়িয়ে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের ছবিকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার  

False National

কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু সহিংসতা পরিবেশ সারা দেশ জুড়ে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। যার জের ধরে আন্দোলনের দাবি হয়ে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগ। উত্তপ্ত জনগণকে নিয়ন্ত্রনে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া এবং কার্যকারী করা হয় কারফিউ। রাস্তায় নামানো হয় বিজিবি। কারফিউকে তোয়াক্কা করে এই আন্দোলনের তীব্রতা দিনের দিন বাড়ে এবং প্রদর্শনকারী ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষের খবরও ভেসে উঠে গণমাধ্যম গুলোর শিরোনামে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ থানায় আক্রমন করে বিক্ষোভকারিরা এবং ১৩ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতে প্রান গেছে ২০০ জনেরও বেশি প্রদর্শনকারীর এবং আহত হয়েছে ১০০০জনেরও বেশি। উত্তপ্ত জনতার আক্রোশ এতোটাই বেড়ে যায় যে তারা গনভবনে প্রবেশ করে। সেই মুহূর্তের অনেক ছবি, ভিডিও পোস্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে সামরিক সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়েছেন তিনি। দেশ ত্যাগ করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানা যায় গণমাধ্যম মারফত। এই আবহে ভারতের ফ্ল্যাগ রয়েছে এমন একটি সামরিক বিমানের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমান তেজগাঁও বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। 

তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি দাবিটি মিথ্যা। ২০২১ সালে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে দাড়িয়ে থাকা বায়ুসেনার বিশেষ বিমানের ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ভারতীয় গণমাধ্যম india.com-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছবিটি ২০২১ সালের ১০ মে তারিখে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে যখন বিমানটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে দাড়িয়েছিল। COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের (IAF) বিমানটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

দি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকেও জানা যায় ছবিটি ভারতের রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে দাড়িয়ে থাকার সময় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। করোনা কালের সেই সময় রাজ্যের অক্সিজেন সরবরাহ করতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এই বিমানে করে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিমানবন্দরে পৌঁছানো হয় এবং পড়ে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জায়গা গুলোতে পাঠানো হয়েছিল। ১০০টি বিমান দিয়ে মত ১৩৯টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ঝাড়খণ্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

দি টেলিগ্রাফ প্রতিবেদন আর্কাইভ 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমান তেজগাঁও বিমান ঘাঁটিতে দাড়িয়ে থাকার দাবিটি মিথ্যা। ২০২১ সালের মে মাসে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচির বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

Avatar

Title:ভারতের বিমানবন্দরে দাড়িয়ে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের ছবিকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *