রুশ-ইউক্রেন বিবাদঃ ১৯৯০ সালের ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের ছবিকে সম্পাদিত করে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে সেটিকে ইরাকে ইউক্রেনের ট্যাঙ্ক হামলার দৃশ্য বলে দাবি করা হচ্ছে। পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি দেওয়া লাগানো একটি বড় ছবির সামনে কয়েকজন সৈন্য হাতে অস্ত্র নিয়ে বসে আচঘে আছে এবং তাদের সামনে একটি ট্যাঙ্কার রয়েছে। ট্যাঙ্কারের ওপরে ইউক্রেনের পতাকা দেওয়া রয়েছে।
পোস্টের একটি বিস্তারিত ক্যাপশন দেওয়া রয়েছে যার প্রথম ভাগে লেখা রয়েছে, মিথ্যা আযুহাত দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে আমেরিকার সংগী হয়ে এসেছিল, হত্যা করেছিল সাধারণ মানুষকে, আজকে তাদেরকে মারতে রাশিয়া হাজির ছবিতে ইউক্রেনের ট্যাংক ইরাকে হামলায়।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ১৯৯০ সালের কুয়েত-ইরাক যুদ্ধের একটি ছবিকে রুশ-ইউক্রেন বিবাদের সাথে জুড়ে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা পোস্টের ছবিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে ছবিটিকে একই দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। এরপর কয়েকবার সার্চ করার পর ‘AlBawaba’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভাইরাল ছবির অনুসন্ধান পাই। ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি এটি ১৯৯০ সালে কুয়েতে ইরাকি আক্রমণের দৃশ্য। এই ছবিকেই সম্পাদিত করে ট্যাঙ্কারে ইউক্রেনের পতাকা লয়াগয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
নিচে ভাইরাল ছবি এবং আসল ছবির একটি তুলনা দেওয়া হল।
এরপর এই প্রতিবেদন থেকে কিছু সূত্র নিয়ে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। স্টক ইমেজ সংস্থা ‘গেট্টি ইমেজেস’-এর ওয়েবসাইটে ঠিক একই রকমের একটি ছবি খুঁজে পাই যেখানে দেখা যায় এই একই জায়গায় কয়েকজন অস্ত্রধারী সৈন্য বসে রয়েছে। ছবিরে ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ১৯৯০ সালে পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েতে নিয়োজিত মার্কিন সৈন্যরা সাদ্দাম হোসেনের একটি ছবির সামনে বিশ্রাম নিচ্ছে। ছবিটি তুলেছেন জ্যাক ল্যাঙ্গেভিন।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ১৯৯০ সালের কুয়েত-ইরাক যুদ্ধের একটি ছবিকে রুশ-ইউক্রেন বিবাদের সাথে জুড়ে ভুয়া দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।
Title:রুশ-ইউক্রেন বিবাদঃ ১৯৯০ সালের ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের ছবিকে সম্পাদিত করে ভুয়া দাবির সাথে শেয়ার
Fact Check By: Nasim AResult: Altered