
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, পাহাড়ে আযান দেওয়ার জন্য কয়েকজন তরুণকে গ্রেফতার করা হল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন যুবক কানে হাত দিয়ে আযান দিচ্ছে এবং পেছনে বেশ কয়েকজন লোক বসে আছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আযান দেওয়ার কারণে গ্রেফতার এই ভাই গুলো।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ২০২০ সালের তাজিং ডং পাহাড়ে আযান দেওয়ার ভিডিওকে সম্প্রতির অন্য একটি ঘটনার সাথে যুক্ত করে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওকে ‘ইনভিড-উই-ভেরিফাই’ টুলে কি-ফ্রেমে ভাগ করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি আপলোড করা একটি ইউটিউব ভিডিওতে এর অনুসন্ধান পাই। ‘আমাদের কাউয়াদি’ নামে ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেয়ার এই ভিডিওর শিরোনামে লেখা রয়েছে, “তাজিংডং|| বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়ায় আযান।“
এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি ‘পাহাড়ের খবর’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এই ভিডিও দেখতে পাই। এই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “Alhamdulilah বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া থেকে যোহরের আযান! (Tazing Dong, Bandarban) . এভাবেই বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌঁছে যাবে ইসলাম। দূর্গম পাহাড়, পর্বত সর্বত্রই পৌঁছে যাবে ইসলামের পবিত্র বাণী। ইনশাআল্লাহ।“
অন্যদিকে, হিন্দুদের অন্যতম ধর্মস্থান সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় দুজনকে গ্রেফাতার করেছে পুলিশ। ওই দুজনের নাম মুহাম্মদ শিব্বির বিন নজির (২১) এবং রিফাত খন্দকারকে (২০)। দুজনেই মাওলানা মামুনুল হকের মাদ্রাসার ছাত্র। মুহাম্মদ শিব্বির নিজে একটি টুরিস্ট প্রতিষ্ঠানের গাইড হিসেবে কাজ করে। ২৭ অগস্ট পর্যটক নিয়ে চন্দ্রনাথে যায় এবং সেখানে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখুন।

আরও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে এই খবর জানতে পারি। স্পষ্ট ভাবে বলা যেতে এই ঘটনার সাথে ভাইরাল ভিডিওর কোনও সম্পর্ক নেই।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০২০ সালের তাজিং ডং পাহাড়ে আযান দেওয়ার ভিডিওকে সম্প্রতির অন্য একটি ঘটনার সাথে যুক্ত করে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।

Title:পুরনো ভিডিওকে চন্দ্রনাথে পাহাড়ের ঘটনা দাবি করে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে
Fact Check By: Rahul AResult: Missing Context